Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

দর্শনীয় স্থান
ছোট বেলা থেকে চারুকলায় লেখাপড়ার আগ্রহ ছিল তারিকুল আলম মিলনের। কিন্ত আর্থিক দৈন্যতা ও বিভিন্ন সমস্যার কারনে চারুকলায় পড়াশোনা সম্ভব হয়নি তার। নিজের সুপ্ত বাসনাকে জাগিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করতো সে। বাড়ীতে বসেই সিমেন্ট বালু দিয়ে বিভিন্ন ভাস্কর্য্য তৈরী করে মেটাতো মনের বাসনা। অবশেষে সেবা ও চিত্র বিনোদনের পরিকল্পনা নিয়ে গড়ে তুলেছেন নীল কুঠি জঙ্গল নামে একটি ফ্যামিলি পার্ক। পার্কটিতে তার নিজের হাতে তৈরী দৃষ্টি নন্দন শতাধিক ভাস্কর্য্য স্থাপিত হয়েছে। সীমান্তের এক অয পাড়া গায়ে বিনোদনের জন্য তৈরী করেছেন পার্কটি। ২০১২ সালে শুরু করে গত তিন বছরের ব্যাবধানে বন বাদারে ঘেরাস্থানটি তিনি চিত্র বিনোদনের স্পটে পরিনত করেছেন। চিত্ত বিনোদনের খোরাক শার্শার নীলকুটি জঙ্গল
 
 
চারুকলায়  লেখাপড়া হয়নি মিলনের। সাধ ও সাধ্য থেকেই নিজের তৈরী শতাধিক ভাস্কর্য্য দিয়ে অয পাড়াগায়ে গড়ে তুলেছেন নিল কুঠি জঙ্গল ফ্যামিলি পার্ক। চিত্র বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে মানুষের নীলকুঠ জঙ্গল। 
 
যশোরের শার্শা উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিনে উলাশি গ্রাম। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যদুনাথপুর খাল। খালের পর্বপাশেই সুবুজেঘেরা বেস্টনী-১৭একর জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে নিরিবিলি বিনোদন কেন্দ্র নীল কঠি জঙ্গল পার্ক। উলাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুল আলম মিলন নেজের মেধা প্রজ্ঞা ও ইচ্ছ শক্তি দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন মনোরম পরিবেশে চিত্র বিনোদনের স্পট। অবসর সময় ও বিনোদনের জন্য পার্কটিতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। উপভোগ করছেন ভাস্কর্য্য সহ ছায়াঘেরা পার্কটি।  সরকারি পৃষ্টপোষকতা কামনা করে তারিকুল আলম মিলন বলেন, বিনোদন প্রেমী ও শিক্ষার্থীরা সবুজে অরণ্যে ঘেরা ছায়াবিথি তলা নীল কটি জঙ্গলে আসলে লাগবে ভালো এতেই পাবেন তিনি শান্তি।চিত্ত বিনোদনের খোরাক শার্শার নীলকুটি জঙ্গল
 
 
যশোর  থেকে নীল কটি জঙ্গল ফ্যামিলি পার্কে চিত্র বিনোদনের জন্যে আসা আসিফা চৌধুরী বলেন, সবুজের অরন্যেঘেরা ছায়াবিথি তলায় আসলে মন ভরে যায। পার্কটি সুন্দুর ও মনোরম পরিবেশ বলে জানান তিনি।  পার্কে বেড়াতে আসা শার্শা নাভারন ফজিলাতুন নেছা মহিলা কলেজের প্রভাষক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, নদীর তীর ঘেষে নীলকুঠি জঙ্গলে গড়ে ওঠা পার্কটি একটি আধুনিক পিকনিক স্পট।এ এলাকায় কোন পিকনিক স্পট নেই। তাই এটাকে পুজি করে এলাকার লোকজন খুব আনন্দ পায়। এই স্পটে এসে নিরিবিল পরিবেশ পায়।এটাকে আরো একটি উন্নত করতে হবে। তারপও আমরা অবসর সময়ে ঘুরতে এসে দেখি খুব মনরম পরিবেশে ঘোরাফেরা করা যায়। 
 
যশোর মনিরাম পুর থেকে আসা এনজিও কর্মকর্তা  আক্তারুজামান বলেন, অনেক পার্কে গিয়েছি। তবে পল্লীর ভিতর পার্কটি খুবই সুন্দর। এধরনের ফ্যামিলি পার্ক বিভিন্ন বযেসের মানুষের বিনোদনের খোরাক মেটাচ্ছে। তবে স্থানীয়রা জানান, পার্কের মধ্যে রঙিন কাপড় দিয়ে ঘেরা গোল ঘরের পরিবেশ সামাজিকতা নষ্ট করছে। কর্তৃপক্ষের সজাগ ও সমাজিক পরিবেশ বজায় রাখার আহব্বান জানান তারা। নাভারন ডিগ্রি কলেজের অধ্যাক্ষ ইব্রাহিম খলিল জানান, শার্শা উপজেলায় একটি মাত্র চিত্র বিনোদনের জন্যে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে পার্ক নির্মিত হয়েছে। এটে প্রশংসার দাবী রাখেন। তবে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের জন্যে পরিবেশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। চিত্ত বিনোদনের খোরাক শার্শার নীলকুটি জঙ্গল
 
 
শার্শা উপজেলা নির্বাহি অফিসার এট্এিম শরিফুল আলম বলেন, পার্কে যেযে ভাল লেগেছে মিলনের একাধিক ভাস্কর্য্য। সুন্দর বনের ঐতিহ্য একটি রয়েল বেঙ্গল টায়গার উপজেলা সদরে স্থাপনের জন্যে তরুন জনপ্রতিনিধি মিলনকে বলা হয়েছে। তবে সরকারি পৃষ্টপোষকতা সহ কোন বৃত্তশালী মানুষের সহযোগিতা পেলে স্পটটি আরো আধুনিক ও রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে পরিনত হবে বলে জানান তিনি।   মনোরম পরিবেশের দৃষ্ট নন্দন পার্কটি সবার নজর কাড়তে শুরু করেছে। শার্শা উপজেলার স্পটটি একটি মাত্র চিত্র বিনোদনের স্পটে পরিতণ হয়েছে।